ফুটবলে বাংলাদেশের জয় : দক্ষ খেলোয়াড় তৈরিতে সুদৃষ্টি জরুরি

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৮ ঘন্টা আগে

২০০৩ সালে জাতীয় স্টেডিয়ামে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সবশেষ ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দীর্ঘ ২২ বছর পর আবারও একই মাঠে সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন হামজা-রাকিবরা। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে শেখ মোরসালিনের গোলে জয় খরা কাটিয়েছে আমাদের জাতীয় দল। 

ফুটবল আমাদেরে দেশে খুবই জনপ্রিয় খেলা। বিশ্বকাপ ফুটবল এলে এদেশের মানুষ বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে বিভিন্ন দলকে সমর্থন করে। বিশেষ করে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল- দুই দলে ভাগ হয়ে যায় আমাদের দেশের ফুটবল সমর্থকরা। একসময় দেশে আবাহনী-মোহামেডানের খেলা দর্শকদের মাতিয়ে রাখত। এ ঐতিহ্য অনেকটা আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম। ভারতকে হারিয়ে ফুটবলের এ হারানো ঐহিত্য যেন ফিরে এলো।

ফুটবলের প্রতি আমাদের দেশের মানুষের আবেগ ও ভালোবাসা দীর্ঘদিনের। এক সময়ের অনন্য জনপ্রিয় খেলাটি এখন আশা-আকাক্সক্ষা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করেছে। দেশের ফুটবলের প্রকৃত অবস্থা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলেই স্পষ্ট হয় । ফুটবলে র‌্যাংকিং প্রকৃতপক্ষে এর বাস্তব অবস্থা তুলে ধরে না। এটা অনেকটাই নির্ভর করে দলটি কতগুলো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে, কেমন পারফরম্যান্স করেছে কিংবা জয় পেয়েছে তার ওপর। এখন আমাদের ফুটবলের প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা হয়, কতজন উপযুক্ত খেলোয়াড় তৈরি করতে পেরেছি?

ফুটবলে ভালোমানের খেলোয়াড় তৈরি করতে হলে ক্লাবগুলোর মধ্যে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সদিচ্ছা এবং সুন্দর পরিকল্পনা ছাড়া ফুটবলার ন্যাশন হিসেবে গড়ে উঠতে পারব না। দেশের ফুটবলে ভালো করতে হলে সংশ্নিষ্ট কর্তপক্ষকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। যেমন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে পার্টনারশিপের ভিত্তিতে স্কুল পর্যায় থেকে ক্লাব করে ফুটবলার তৈরি করার দীর্ঘমেয়াদি ও বিস্তৃত পরিকল্পনার মাধ্যমে আগামীদিনের ফুটবলকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। সঠিক পরিকল্পনা, আর্থিক জোগান ও যোগ্য কর্মী থাকলে শুধু ক্লাব নয়, তৃণমূল পর্যায়ে ক্লাব বা একাডেমি তৈরি করে পুরো বাংলাদেশকে ছোঁয়া সম্ভব হবে।

স্বল্প-মধ্য-দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে ফুটবলের গুণগতমান বৃদ্ধি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হোক। ফুটবলে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে দক্ষ খেলোয়ার তৈরির কোনো বিকল্প নেই।

 

  • ফুটবল
  • #