দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী প্রিটোরিয়ায় হোস্টেলে বন্দুকধারীদের হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন বছর বয়সী এক শিশুও রয়েছে। শনিবার ভোরে এই হামলা হয়। ঘটনাস্থলে অবৈধভাবে মদ বিক্রি করা হতো বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র আথলেন্দা ম্যাথে বলেন, মোট ২৫ জনকে গুলি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল সাউলসভিলে ১০ জন মারা যান, আর একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ম্যাথে জানান, স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে চারটার দিকে তিন বন্দুকধারী হোস্টেলের ভেতরে থাকা এক অবৈধ স্থানে ঢুকে মদ পান করা একদল পুরুষের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। হামলায় নিহতদের মধ্যে ১২ বছরের এক ছেলে ও ১৬ বছরের এক কিশোরীও আছে।
তিনি বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। পুলিশ সকাল ৬টার দিকে ঘটনার খবর পায়। হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি। সন্দেহভাজনদের খোঁজে চলছে ব্যাপক অভিযান।
ম্যাথে আরও বলেন, অবৈধ ও অননুমোদিত মদের দোকান আমাদের জন্য বড় সমস্যা। বেশির ভাগ গণহামলাই এই ধরনের জায়গায় ঘটে। নিরীহ মানুষও এসব হামলার ক্রসফায়ারে পড়ছেন।
আফ্রিকার সবচেয়ে শিল্পোন্নত দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠিত অপরাধচক্র, দুর্নীতি ও সহিংসতার সঙ্গে লড়াই করছে। দেশটিতে গুলিবর্ষণের ঘটনাও সাধারণ, যা অনেক সময় গ্যাং সহিংসতা ও মদ সম্পর্কিত বিরোধ থেকে শুরু হয়।
অনেক নাগরিক ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য বৈধ অস্ত্র রাখেন; তবে অবৈধ অস্ত্রের সংখ্যাও অনেক বেশি। পুলিশ গত মাসে জানিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৬৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এসব হত্যার বেশির ভাগই তর্ক-বিতর্ক, ডাকাতি ও গ্যাং সহিংসতা থেকে উদ্ভূত।
চলতি বছরের অক্টোবরেই জোহানেসবার্গে গ্যাং সংঘর্ষে দুই কিশোর নিহত ও পাঁচজন আহত হন। গত মে মাসে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ডারবানে এক ট্যাভার্নে হামলা চালিয়ে আটজনকে হত্যা করা হয়। গত বছর ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের এক গ্রামীণ বাড়িতে একই পরিবারের ১৮ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।