থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে আবারও ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কম্বোডিয়ার সরকার জানিয়েছে, তাদের সাতজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০ জন। অপরদিকে, থাই কর্তৃপক্ষ তিন সেনাসদস্য নিহত হওয়ার তথ্য দিয়েছে। তাদের একজনের প্রাণ গেছে গ্রেনেড লঞ্চারের আঘাতে।
বেসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণ নিয়ে থাইল্যান্ড বলছে, কম্বোডিয়া ‘মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম’ ও বোমা ফেলার ড্রোন ব্যবহার করছে। অন্যদিকে কম্বোডিয়ার অভিযোগ, থাইল্যান্ড তাদের সীমান্তবর্তী পুরসাত প্রদেশে নির্বিচারে গোলাবর্ষণ করেছে।
মঙ্গলবার কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেন বলেন, থাইল্যান্ডের আক্রমণের জবাবে কম্বোডিয়া সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার সকালে পাল্টা আঘাত হেনেছে। এর আগে যুদ্ধবিরতির প্রতি সম্মান জানাতে তারা ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধৈর্য ধরেছিলেন।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় গত জুলাইয়ে। গত অক্টোবরে দুই দেশের মধ্যে একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার সংঘর্ষ শুরুর পর তিনি দুই দেশকে যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে আহ্বান জানিয়েছেন।
এক মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সহিংসতা বন্ধ রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আশা করেন কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড উভয় সরকারই সংঘাতের অবসানে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।