রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধে ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার উদ্বেগ

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ১ সপ্তাহ আগে

সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন পাঁচজন মার্কিন কংগ্রেস সদস্য। নির্বাচনের আগে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এতে ভোটারদের একটি বড় অংশ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারে।

মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টাকে পাঠানো এই চিঠিতে সই করেন হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির র‌্যাংকিং মেম্বার গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান বিল হুইজেঙ্গা, একই উপকমিটির র‌্যাংকিং মেম্বার সিডনি কামলাগার-ডোভ, এবং কংগ্রেসম্যান জুলি জনসন ও টম আর সুওজি। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির ওয়েবসাইটে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়।

চিঠিতে কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করে আইনপ্রণেতারা বলেন, জাতীয় সংকটের সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ায় তারা প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকার প্রতি সমর্থন জানালেও, একটি বড় রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম পুরোপুরি স্থগিত করা মৌলিক মানবাধিকার এবং ব্যক্তিগত অপরাধ দায়বদ্ধতার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

২০১৮ ও ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি উল্লেখ করে কংগ্রেস সদস্যরা বলেন, সংগঠনের স্বাধীনতা এবং সম্মিলিত নয়, বরং ব্যক্তিগত অপরাধ দায়বদ্ধতার নীতি মৌলিক মানবাধিকার। আইনের যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধী বা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের বিচারের বদলে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম পুরোপুরি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত এসব নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ব্যালটের মাধ্যমে জনগণের মতামত শান্তিপূর্ণভাবে প্রকাশের সুযোগ দিতে নির্বাচন আয়োজনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরি। একই সঙ্গে সততা, স্বচ্ছতা ও নির্দলীয়ভাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সংস্কার প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্থগিত রাখা বা ‘ত্রুটিপূর্ণ’ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনরায় চালু করা এসব লক্ষ্য অর্জনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলেও তারা সতর্ক করেন।

চিঠির শেষাংশে কংগ্রেস সদস্যরা জোর দিয়ে বলেন, একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে, যেখানে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করতে পারবে। তারা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং দেশটির গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে ওয়াশিংটন প্রস্তুত।

  • আইনপ্রণেতা
  • উদ্বেগ
  • নিষিদ্ধ
  • মার্কিন
  • রাজনৈতিক দল
  • #