আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে কারাগারে

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৩ দিন আগে

মাওলানা আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নরসিংদী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অধিযাচনের (অনুরোধ) ভিত্তিতে আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে নরসিংদী থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাকে জিএমপিতে হস্তান্তর করা হয়।

জিএমপির একটি সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে আটক করে টঙ্গী পূর্ব থানায় হস্তান্তর করে। পরে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে টঙ্গী পূর্ব থানা থেকে তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, তার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আটকাদেশ ছিল। ডিএমপি আটকের পর আমাদের কাছে দেয়, এরপর আমরা তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠাই।

প্রসঙ্গত, আলোচিত আতাউর রহমান বিক্রমপুরী, আসাদুল্লাহ বা আতাউর নামেও পরিচিত। তার বাবার নাম হুমায়ুন সর্দার, মা রোকেয়া বেগম।
আতাউর রহমান বিক্রমপুরীর বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী উপজেলার আমতলী গ্রামে। তিনি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় ইস্তা গ্রামে অবস্থিত মারকাজুল হুনাফা আল মুসলিমিন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল (অধ্যক্ষ)। এছাড়া হুনাফা ইসলামীক স্কুলেরও প্রিন্সিপাল।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৪ মার্চ ঝিকরগাছা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা এফআইআর (নং-১৮/৭৭)-এর এজাহারভুক্ত আসামি তিনি।

মাওলানা আতাউর রহমান বিক্রমপুরী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সক্রিয়। রাজধানীতেও বিভিন্ন আন্দোলন বিক্ষোভের সময় তাকে সামনের সারিতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, আতাউর রহমান, আযাদী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির, বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারি এবং শানে সাহাবা জাতীয় খতীব ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানেরও পদে রয়েছেন।

গাজীপুরের একটি মসজিদের ইমাম মুফতি মুহিবুল্লাহ মিয়াজীর কথিত ‘অপহরণ’ ঘটনা সারা দেশে বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। দুটি ঘটনা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৎপর ছিলেন আতাউর রহমান। এ দুটি বিষয় নিয়ে সশরীরে থানা-পুলিশ করেন তিনি। যদিও মুহিবুল্লাহ মিয়াজীর ঘটনাটি পরে ‘অপহরণ’ নয় বলে জানায় পুলিশ।

সর্ব সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রতিবাদে ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত বিক্ষোভের একটি অংশে আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়। যদিও অন্য বিক্ষোভকারীরা তাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখায় তিনি মাঝপথে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করে চলে যান।

 

  • আতাউর রহমান বিক্রমপুরী
  • কারাগার
  • #