মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ : তিন নারীসহ ৬ জন রিমান্ডে

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ২ দিন আগে

কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর তিন নারীসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন মাদ্রাসার পরিচালক আল আমিনের স্ত্রী আছিয়া বেগম (২৮), তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (৩০), আসমানী খাতুন (৩৪), শাহীন ওরফে আবু বকর (৩২), আমিনুর ওরফে দর্জি আমিন (৫০) ও শাফিয়ার রহমান ফকির (৩৬)।

তাদের মধ্যে নারীদের তিন দিন করে এবং পুরুষদের সাত দিন করে রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই বিশ্বজিৎ দেবনাথ রিমান্ডের এসব তথ্য দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই জহিরুল ইসলাম সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আসামি শাহিন, আমিনুর ও শাফিয়ারের ১০ দিন এবং আছিয়া বেগম, ইয়াসমিন আক্তার ও আসমানী খাতুনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই বিশ্বজিৎ দেবনাথ রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। এ সময় আদালত তদন্ত কর্মকর্তার কাছে আসামিদের কার সঙ্গে কী সম্পর্ক জানতে চান। এর আগে শনিবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, কেরানীগঞ্জে শুক্রবার সকাল ১০টার পর উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল নামে ওই মাদ্রাসায় ব্যাপক বিস্ফোরণ হয়। এতে মাদ্রাসার দুটো কক্ষের পাশের দেয়ালগুলো ধসে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

এতে মাদ্রাসার পরিচালক আল আমিন শেখ (৩২), তার স্ত্রী আছিয়া বেগম (২৮) এবং তাদের তিন সন্তানের মধ্যে দুই ছেলে উমায়ের (১০) ও আব্দুল্লাহ (৭) আহত হন। আহত স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে রেখেই আল আমিন পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহতদের মধ্যে উমায়েরের শরীরে পোড়া ক্ষতের পাশাপাশি ভবন ধসের জখম চিহ্ন থাকার কথা বলেছে পুলিশ। বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হওয়া মাদ্রাসাটি থেকে বিস্ফোরকসহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের তথ্য দেয় পুলিশ। ওই ঘটনায় ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের থানার এসআই মো. লিটন সন্ত্রাসীবিরোধী আইনে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

 

  • বিস্ফোরণ
  • মাদ্রাসা
  • রিমান্ড
  • #