ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় অঞ্চলসহ দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। জানা গেছে বরিশালের বানারীপাড়ায় উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সন্ধ্যানদীসংলগ্ন এ উপজেলায় কোনো বেড়িবাঁধ না থাকায় এবং নিম্নাঞ্চল হওয়ার এখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ঘূণিঝড় মোকাবেলায় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় নাগরিক সমাজ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- বানারীপাড়ায় এমন কোনো দোকান নেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। প্রতিটি দোকানে পানি উঠেছিল ২-৩ ফুট। লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হোয়েছে কোনো ব্যবসায়ীদের। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত শুনেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি রাশেদ খান মেনন এমপি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্তরা হালদারের তৎপরতায় স্থানীয়ভাবে কোনো ‘কন্ট্রোল রুম’ তৈরি হয়নি। ফলে এখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হয়েছে। যদিও সরকার ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবুও এ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি।
আরো জানা যায়- ঘূর্ণিঝড়ের আগে উপজেলাব্যাপী সতর্কতামূলক মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা করেনি স্থানীয় প্রশাসন। তাছাড়া ফায়ার ব্রিগেড, রেড ক্রিসেন্ট ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের সংঠটিত করে মহাবিপদ মোকাবিলার কোনো উদ্যোগ ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। পানি নেমে যাওয়ার পরে ত্রাণ তৎপরতারও তেমন কোনো তোড়জোড় লক্ষণ দেখা যায় না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্তরা হালদার ও স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের নিষ্ক্রিয়তায় সাধারণ নাগরিক সমাজ হতাশা ও বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্তরা হালদার ও স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।