আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ চেতনাপ্রসূত শক্তি। ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সব আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া দেশের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলটি এবার পা রাখছে ৭৬ বছরে। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই রাজনৈতিক দলটির যাত্রা শুরু হয়। পরে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটাতে এর নাম ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। আর ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দ দুটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে। স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সব কাগজপত্রে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নাম ব্যবহার শুরু হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অপরাজেয় এক শক্তির নাম। বাংলাদেশেরে ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংগ্রামের প্রতিটি স্রোতধারায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কালজয়ী চিহ্ন আমরা দেখছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও দুঃসাহসিক নেতৃত্ব আবহমানকাল ধরে এ পলল ভূমিতে সঞ্জিবনী শক্তি দান করে যাচ্ছে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, আইয়ূব খানের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছিষট্টির ছয়দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং সর্বপরি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ সমস্ত ঐতিহাসিক সংগ্রামে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মহাকাব্যিক নেতৃত্ব দিয়েছে। আর আওয়ামী লীগের এ মহাকাব্যিক নেতৃত্বে প্রধান বাতিঘর ছিলেন জাতির পিতা শেখ মুজিব। তিনি তাঁর উৎসর্গকৃত আত্মদানের মাধ্যমে বাঙালির আত্মপরিচয়ের ঠিকানা রেখে গেছেন। আজও জাতির পিতার অবিনাশী চেতনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশ, মাটি ও মানুষের কল্যাণে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ কওে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল। জনগণই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ভূখণ্ডে প্রতিটি প্রাপ্তি ও অর্জন সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙালির অর্জন এবং উন্নয়নের মূলেই রয়েছে আওয়ামী লীগ।
মুক্তিযুদ্ধের অহর্নিশ চেতনার বিকাশ, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনিমার্ণের ভিত সুদৃঢ়করণ, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা গতিশীল রাখতে, এবং জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্রের প্রত্যয় নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করছে তা অনুধাবন করেই আজকের এ লেখা। এদেশের ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতিতে মূলত সুবিধাবাদী ঘরানার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ষড়যন্ত্রের ছক তৈরি করে কানাগলি দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে সবসময় উদগ্রীব। গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ, রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তি সুদৃরকরণ এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বসতি রেখে যেতে হলে জাতির পিতার রক্তের যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প কোনো নেতৃত্ব এদেশে নেই। তিনিই একমাত্র নেতৃত্বের জীবন্ত বাতিঘর; যাঁর সততা, বীরত্ব, সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও আপোষহীন দৃঢ়তা এ পললভূমিতে প্রজন্মের চিরস্থায়ী বুনিয়াদ তৈরি করেছে।
বঙ্গবন্ধকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা অব্যাহতভাবে চলছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে কীভাবে ক্ষমতার বাইরে রাখা যায় তার সূক্ষ্ম চাল এখনই দেখা যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ এতটাই শক্তিশালী কথিত দেশবিরোধী শক্তি ক্ষমতার মসনদে বসার জন্য ষড়যন্ত্র ছাড়া অন্য কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছে না। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুণে ঐক্যবদ্ধ, কাজেই দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা রক্ষা, ত্যাগীদের যথাযথ মূল্যায়ন, তৃণমূলকে গতিশীল, আন্তঃদলীয় দ্বন্দ্ব কঠোরভাবে দমন, দলীয় নির্দেশনা ভঙ্গকারীদের শাস্তির আওতায় আনাসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের সব ইউনিটে গতিশীল নেতৃত্ব নির্বাচিত করে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করা। আওয়ামী লীগে সুবিধাবাদী অনুপ্রবেশকারীদের সনাক্ত করে তালিকা নিরূপণ করা দরকার, এদের গতিপথ সুবিধার চাকায় চালিত, তাই এদের দলে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদে রাখা কাম্য নয়, সেটা তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে। তাছাড়া যারা দলের পদ-পদবি ব্যবহার করে দুর্নীতি করেছ, ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে তাদেরকেও দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের বাইরে রাখতে হবে।
এখন আওয়ামী লীগের ঐক্যবদ্ধ শক্তির অনিবার্যতা উপলব্দি না করতে পারলে দল ও দেশকে এর চরম খেসারত দিতে হবে। বাংলাদেশ তার গতিপথ হারাতে বসতে পারে। কারণ অপশক্তির আওয়াজ এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে। এই দেশবিরোধী অপশক্তির আসুরিক আস্ফালন ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেক বার’ বার বার উচ্চারিত হচ্ছে। এমন প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির মোকাবেলা কেবল জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগই করতে পারবে। কাজেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাপ্রসূত বাংলাদেশ এবং আগামী প্রজন্মের নিরাপদ বসতির জন্য আওয়ামী লীগের সামষ্টিক শক্তির বলয় নিয়ে নেতাকর্মীদের সদাজাগ্রত থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল, জনগণের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে কাজ করে থাকে এ দল। এদেশের উর্বর পললে সাধারণ মানুষের অকৃত্রিম ভালবাসা ও ত্যাগে আওয়ামী লীগের জনভিত্তির মহীরুহের উন্নত শির নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ষড়যন্ত্রকারীরা আওয়ামী লীগের এ ঐতিহাসিক ও কালজয়ী জনভিত্তিকে কোনো কালেই মেনে নিতে পারেনি। তাদের অপপ্রচার, গুজব ও মিথ্যাচার ছাড়া বিকল্প কোনো সরল পথ নেই। তাদের অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের মূল টার্গেট আওয়ামী লীগ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ, জননেত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও তাদের পরিবারের সদস্যবর্গ। এসব অপপ্রচার ও মিথ্যাচার মোকাবেলা করতে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে, মিথ্যাচারের জবাব দিতে তৃণমূলকে এখনই প্রস্তুত করতে হবে। আওয়ামী লীগের তৃণমূল ও কেন্দ্রের আন্তঃযোগাযোগ আরো গভীর ও সুদৃঢ় করতে হবে।
এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইউটিউব ও টুইটার ব্যবহার করে দেশে-বিদেশে বসে একশ্রেণির দেশবিরোধী শক্তি অব্যাহতভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এরা মূলত কখনো উগ্রবাদকে উস্কে দিচ্ছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পাঁয়তারা করছে, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সচেষ্ট থাকছে, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের প্রতি মিথ্যাচার চালাচ্ছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি বিদ্বেষ মনোভাবাপন্ন প্রতিহিংসা ছড়াচ্ছে, লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের ক্ষতি করছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাচ্ছে। দেশের অর্থ বিদেশে লগ্নি করে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য বিশাল অর্থ বিনিয়োগ করে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছিল, এর ধারাবাহিকতা এখনও অব্যাহত আছে। শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাতই এদের মূল কথা। এসব মিথ্যাচার মোকাবেলায় আওয়ামী লীগের একটি শক্তিশালী মিডিয়া সেল থাকা জরুরি। এ সেল সব মিথ্যাচারের সমুচিত জবাব দিবে। তরুণ, চৌকস, প্রযুক্তিতে দক্ষ ও ইতিহাস-রাজনীতিতে পারদর্শীদের সমন্বয়ে এ সেল গঠিত হলে সবচেয়ে ভাল হয়।
উন্নয়নের অংশীজন এদেশের জনগণ, এদেশের সাধারণ মানুষ উন্নয়নের সুবিধাভোগী। যেহেতু এদেশের গণ-উন্নয়নের সিংহভাগই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়িত, বড় বড় মেগাপ্রকল্পগুলো বঙ্গবন্ধকন্যার অসীম সাহসিকতা ও দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছে; তাই শকুনের কুনজর এ মেগাপ্রকল্পগুলোর দিকে। এসব উন্নয়ন নিয়ে মিথ্যাচার ও ভুয়া দুর্নীতির তকমা তুলে দেশবিরোধীরা। এদেশকে এশিয়ার অর্থনীতির হাবে পরিণত করতে হলে, দেশের চলমান অর্থনীতিকে বিকশিত করতে, জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য এসব মেগাপ্রকল্পের জরুরি।
প্রান্তিক মানুষ যাতে এসব উন্নয়নের সরাসরি সুবিধাভোগী হয় তার জন্য স্থানীয় উন্নয়নের কানেকটিভিটি এসব মেগাপ্রকল্পে যুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে বিকাশমান স্থানীয় নেতৃত্বের মাধ্যমে উন্নয়নের রূপরেখা তুলে ধরতে হবে, উন্নয়নবিরোধী অপপ্রচার মোকাবেলা করতে, জাতির পিতার উত্তরসূরি শেখ হাসিনার উন্নয়ন দর্শন তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। শেখ হাসিনার দর্শনের মূলে এদেশের ভূমিহীন-আশ্রয়হীন প্রান্তিক মানুষ তার সমুজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে লক্ষাধিক পরিবারকে পাকা ঘর প্রদানÑ এমন জন ও গণমুখী উন্নয়নের সচিত্র দৃশ্য তুলে ধরতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন দর্শনের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে এদেশের সাধারণ মানুষ- এ মূল প্রতিপাদ্যকে দলের সব নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে তুলে ধরতে হবে।
বিরোধী অপশক্তি ও তাদের দোসররা উদার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা বাদ দিয়ে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে থাকে। গঠনমূলক সমালোচনার পরিবর্তে মিথ্যাচারকেই বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। যেমন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী ভোজ্যতেল, খাদ্য, জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে বাংলাদেশেও এর কিছুটা প্রভাব পড়ে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ সংকট মোকাবেলায় জনবান্ধব কর্মসূচি হাতে নিয়ে প্রান্তিক মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে রাখতে যথাযথ ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু দেশবিরোধী শক্তি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এ স্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙা করতে পাঁয়তারা করেছিল। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের কাছে এ অপশক্তি পদানত হয়েছে। তবে প্রান্তিক মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে সরকার সবসময় বাজারব্যবস্থা মনিটরিংসহ মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। তবুও সিণ্ডিকেটের কারসাজিতে বাজারব্যবস্থা যাতে কোনোভাবেই অস্থিতিশীল না হয় সে লক্ষ্যে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে।
দেশের তরুণ জনগোষ্ঠী প্রবলভাবে রাজনৈতিক সচেতন। এ জনগোষ্ঠীকে মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে গড়তে হবে। কারণ এদেশের তারুণ্যকে ঘিরে চক্রান্ত সবসময় চলমান। এ শক্তিকে বিপথে নিতে পারলে ষড়যন্ত্রকারীদের ফায়দা হাসিলের পথ সুগম হয়। দেশের বড় বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে এরই মধ্যে ষড়যন্ত্রের আবহ তৈরি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালগুলোকে অস্থিতিশীল করতে অনেক রাজনৈতিক দল কিছু কিছু বিপথগামী ছাত্রনেতাদের দিয়ে ইন্ধন যোগাচ্ছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্রলীগকে এ চক্রান্ত মোকাবেলা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধবিবোধী শক্তি এদেশে তারুণ্যকে কলুষিত করতে সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নামছে। তাই শিক্ষাঙ্গনকে নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্রের ছক এখনই নজরদারি আওতায় এনে নির্মূল করতে হবে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল স্রোতধারায় রেখে এগিয়ে নিয়ে যাবে, আগামী প্রজন্মের নিরাপদ পললভূমি বিনির্মাণ করবে এবং সুখী-সমৃদ্ধ-উন্নত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের একমাত্র আশা-ভরসার প্রতীক। সেক্ষেত্রে নেতৃত্বের বাতিঘর জননেত্রী শেখ হাসিনাই আওয়ামী লীগের ঐক্যের প্রতীক। আর ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ অপরাজেয়, কোনো ছকই এ শক্তিকে হারাতে পারবে না।
লেখক : আওয়মী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যান, শের-ই-বাংলা ফাউন্ডেশন