আছাদুজ্জামান মিয়ার ব্যক্তিগত তথ্যপ্রকাশ : এডিসি জিসানুল বরখাস্ত

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৬ মাস আগে
জিসানুল হক ও আছাদুজ্জামান মিয়া : ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জিসানুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব জাহাংগীর আলমের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সোমবার (২৪ জুন) প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জিসানুল হক (বিপি-৮৫১৪১৬৬৩৩১), অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সিটিএসবি অ্যান্ড প্রটেকশন বিভাগ, জিএমপি, গাজীপুর-এর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা ৩৯(১) এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী অভিযুক্তকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা সমীচীন মর্মে বিবেচিত হওয়ায় তাকে সরকারি সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হল। এতে আরও বলা হয়েছে, তিনি বাংলাদেশ সার্ভিস রুল (বি.এস.আর) পার্ট-১, বিধি-৭১ মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন; এবং ০৩। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে আছাদুজ্জামানের ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে অনলাইনে গেল, সেটি নিয়ে তদন্ত করে পুলিশ। এই কর্মকর্তা ছাড়াও পুলিশের আরও দুজন নন ক্যাডার সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়। তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আছাদুজ্জামান মিয়ার ‘ইএসএএফ’ ছড়িয়ে পরে। ইএসএএফ ফরম হলো- ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রাইবার অ্যাপলিকেশন ফরম, যা মূলত মোবাইল গ্রাহকেরা পূরণ করে থাকেন। এই ফরমে একজন ফোন গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, আঙুলের ছাপসহ বিস্তারিত তথ্য থাকে।

ফরমটি প্রকাশের পর পুলিশের উচ্চপর্যায় থেকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়। গাজীপুরের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ নাজির আহমদ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। ফরমটিতে থাকা কিউআর কোড পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গাজীপুর মহানগর পুলিশের বৈধ আড়িপাতা শাখার একজন এএসআই ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার থেকে এটি ডাউনলোড করেছেন। তদন্তে বেরিয়ে আসে গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পদের এক কর্মকর্তা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আছাদুজ্জামানের মোবাইল ফোনের তথ্য চেয়ে বৈধ আড়িপাতা শাখার এক এসআইকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা দেন। সেই বার্তারভিত্তিতে তিনি অন্য একজন এএসআইকে সেটা ডাউনলোড করতে বলেন। পরে সেটা কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়। তদন্তে দেখা যায় অনলাইনে প্রকাশিত ফরমটি হুবহু সেই ফরম।

পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, গাজীপুর মহানগর পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এরপর রোববার জিসানুল হককে সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারি হয়।

  • বাংলাদেশ পুলিশ
  • #