যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের টেলিভিশন বিতর্ক একে অন্যকে লক্ষ্য করে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ করেছেন দুই প্রধান প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুই নেতা বিতর্কে অংশ নেন। পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, সীমান্ত ইস্যু, সামাজিক নিরাপত্তা, চাইল্ড কেয়ার, কংগ্রেস ভবনে হামলার ঘটনা এবং গর্ভপাতসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলার সময় তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলার অভিযোগ আনেন এবং পরস্পরকে তীব্র বাক্যবাণে জর্জরিত করার চেষ্টা করেন।
সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে বাইডেন ও ট্রাম্পের মুখোমুখি বিতর্কে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এদিন ট্রাম্পের ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া নিয়ে তাকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বাইডেন। একইসঙ্গে ট্রাম্পের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাইডেন।
ট্রাম্পও বাইডেনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তিনি বাইডেনকে অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে তীব্র ভাষায় মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্প বাইডেনকে একজন অভিযোগকারী হিসেবে উল্লেখ করেন।
ট্রাম্প বলেন, বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রকে অনিরাপদ করেছেন এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের সুনাম নষ্ট করেছেন। ইরানে বাইডেন নীতি নিয়েও সমালোচনা করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প। তিনি বলেন, বাইডেন নীতির কারণে হামাস ইসরায়েলের ওপর হামলা চালাতে পেরেছে। সাড়ে তিন বছর ধরে আমরা নরকবাস করছি।
এদিন ট্রাম্প আরও বলেছেন, আমরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মুখোমুখি যা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। রিপাবলিকান এই প্রার্থী বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন এবং চীনের শি জিনপিংয়ের মতো বিদেশি স্বৈরচারীরা বাইডেনকে কোনো সম্মানও করে না বা ভয়ও পায় না।
এদিকে বাইডেন বলেন, ট্রাম্প বিস্তর অপরাধ করেছেন। ডেমোক্রেট এই নেতা বলেছেন, ট্রাম্প রাতে এক পর্নো তারকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন, অথচ তখন ঘরে তার স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন। এছাড়া বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্প সামাজিক নিরাপত্তা ও মেডিকেয়ার সুবিধা কমাতে চান।
চলতি বছরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে এই দুই নেতা প্রথমবারের মতো বিতর্কে অংশ নিয়েছেন। আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে এই দুই নেতা একে অপরের সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিলেন।