লঙ্কানদের বিপক্ষে সিলেটে একসময় শঙ্কা ছিল দেড়শ পেরুনো নিয়ে। সেখানে স্কোর গিয়ে দাঁড়িয়েছে দুইশ এর কাছাকাছি। টাইগারদের ইনিংস শেষ হয়েছে ১৮৮ রানে। প্রথম ইনিংস শেষে লঙ্কানদের লিড ৯২ রানের।
দিনের শুরু থেকেই নাকি বাকি দিন নিয়ে আভাস পাওয়া যায়। সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের শুরুটাই হয়েছে ভীষণ নড়বড়ে। মাহমুদুল হাসান জয় ৯ রান এবং তাইজুল ০ রান নিয়ে দিন শুরু করেন। দুজন মিলে ২১ রান যোগ করতেই পতন ঘটে দিনের প্রথম উইকেটের। জয় নিজের রানের সঙ্গে আর ৩ রান যোগ করেই আউট হয়েছেন।
তাইজুলকে সঙ্গ দিতে এরপর ক্রিজে এসেছেন অভিজ্ঞ লিটন কুমার দাস। দুজনে মিলে পার করেছেন বাংলাদেশের দলীয় শতরান। লিটন খেলছেন একেবারেই টেস্ট মেজাজে। আর টেলএন্ডার হয়েও উইকেট আগলে রেখেছেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু টাইগারদের এই জুটিও বেশিক্ষণ টেকেনি। লাহিরু কুমারার দুর্দান্ত ইনসুইং ভেঙে দেয় লিটনের প্রতিরোধ। দলীয় ১২৪ এবং ব্যক্তিগত ২৫ রানে ফেরেন লিটন।
শেষ আশা ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু যেখানে সবাই ব্যর্থ, মিরাজ ব্যতিক্রম হবেন কেন! পুরো ইনিংসের নিয়ম মেনে এই অলরাউন্ডারও ফিরেছেন হতাশ হয়ে। ৩৪ বলে ১১ রান করে কাসুন রাজিথার বলে আউট তিনি। দলের দরকারের সময়ে অহেতুক বড় শট খেলতে গিয়ে খুইয়েছেন নিজের উইকেট। তার একটু আগেই অবশ্য তাইজুল ফিরে গিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলে। ৪৭ রানের ইনিংসটা বাংলাদেশের মান বাঁচিয়েছে। সেইসঙ্গে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপও মিশে ছিল তার ইনিংসে।
মান বাঁচানোর কাজ করেছেন খালেদ এবং শরিফুল। শরিফুল স্বভাব অনুযায়ী বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন। দুই ছক্কায় করেছেন ১৫ রান। দলের স্কোর তাতে আরও খানিক বেড়েছে। আর সিলেটের লোকাল বয় খালেদ করেছেন ২২ রান। তাতেই টাইগারদের ইনিংস গেল ১৮৮ পর্যন্ত। লঙ্কানদের হয়ে চার উইকেট পেয়েছেন বিশ্ব ফার্নান্দো। ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন কাসুন রাজিথা এবং লাহিরু কুমারা।
প্রথম টেস্টের সংক্ষিপ্ত স্কোর : বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৫১.৩ ওভারে ১৮৮/১০ (রানা ০*; জাকির ৯, শান্ত ৫, মুমিনুল ৫, জয় ১২, শাহাদাত ১৮, লিটন ২৫, তাইজুল ৪৭, মিরাজ ১১, শরিফুল ১৫, খালেদ ২২)।
শ্রীলঙ্কা ৬৮ ওভারে প্রথম ইনিংসে ২৮০/১০ (রাজিথা ৬*; মাদুশকা ২, মেন্ডিস ১৬, করুনারত্নে ১৭, ম্যাথুজ ৫, চান্ডিমাল ৯, কামিন্দু ১০২, ধনাঞ্জয়া ১০২, প্রবাথ ১, ফার্নান্ডো ৯, কুমারা ০)