ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড ও স্মার্ট বাংলাদেশ

: জিয়াউর রহমান
প্রকাশ: ৫ মাস আগে
ছবি : জিয়াউর রহমান

বর্তমানে আলোচিত দুটি বিষয় ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনমিতিক লভ্যাংশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ। অর্থনীতিবিদ উইল কেন্টন বলেন, ‘একটি দেশের জনসংখ্যার বয়সের ভিত্তিতে পরিবর্তনের কারণে দেশের অর্থনীতিতে যে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়, তাকেই বলে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড।’ জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপি) সংজ্ঞা অনুযায়ী, যখন কোনও দেশের কর্মক্ষমহীন মানুষের চেয়ে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বেশি থাকে এবং সেটা যখন অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে, তখনই তাকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বলা হয়। অর্থ্যাৎ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনমিতিক লভ্যাংশ হলো ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি সম্ভাবনা, যা জনসংখ্যার কাঠামোগত পরিবর্তন যেখানে কর্মক্ষম জনসংখ্যা (১৫-৬৪ বছর) নির্ভরশীল জনসংখ্যাকে (০-১৪ বছর এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে) ছাড়িয়ে যায়।’ জনমিতির হিসেবে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী জনগোষ্ঠীকে একটি রাষ্ট্রের জন্য উৎপাদনশীল, কর্মমুখী ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য সক্রিয় বিবেচনা করা হয় এবং একটি দেশের মানবগোষ্ঠীর এই পর্যায়কে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য মানবপুঁজি হিসেবে দেখা হয়। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের উপস্থিতিতে, ৪টি দৃশ্যমান ফলাফল প্রকাশিত হবে যথা- এক. বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে শ্রম বিতরণ সিস্টেম উন্নত হবে; দুই. দেশে সামগ্রিক সঞ্চয় বৃদ্ধি পাবে; তিন. মানবপুঁজি শক্তিশালী হবে এবং চার. অভ্যন্তরীণ বাজার আরও সম্প্রসারিত হবে। মূলত কর্মক্ষম জনসংখ্যা ব্যবহার করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করাই হলো ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড।
সুতারং, একটি দেশের মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ বা তারও বেশি’র বয়স যখন ১৫ বছর থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে অর্থাৎ কর্মক্ষম থাকে সেই অবস্থাকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বলা হয়। কোনো কোনো অর্থনীতিবিদ মনে করেন, একটি জাতির জীবনে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থা একবারই আসে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, হাজার বছরে একটি জাতির জীবনে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থা আসে। যে সকল দেশ এই অবস্থার সুফল পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগাতে পারে সেই সকল দেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। কেননা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থা অতিক্রান্ত হলে যে কোনো জাতির অর্থনৈতিক অর্জন স্তিমিত হয়ে পড়তে থাকে। উদাহরণ হিসেবে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কয়েক দশক পর জাপানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার সূচনা হয়। সেই অবস্থার সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশটি দ্রুত অর্থনেতিক উন্নতি অর্জন করতে থাকে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে দ্বিতীয় অর্থনৈতিক পরাশক্তিতে পরিণত হয় জাপান। জাপান ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার সুযোগ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পেরেছিল বলেই বিশ্ব অর্থনীতিতে এতটা সাফল্য প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছিল। ইতোমধ্যে, জাপান ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থা অতিক্রম করে এসেছে। ফলে তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। চীন ইতোমধ্যেই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার সুযোগ পেয়েছে এবং চীন জাপানকে অতিক্রম করে বিশ্ব অর্থনীতিতে দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে। চীন এবং ভারত প্রায় একই সময়ে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার মধ্যে প্রবেশ করেছে যার ফলে উভয় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উচ্চহার বিদ্যমান রয়েছে। আগামী কয়েক বছর পরই চীন এবং ভারতের প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেতে শুরু করবে কেননা উভয় দেশেই বয়স্ক লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। কোন জাতির ভাগ্যে এ ধরনের জনমিতিক সুবর্ণকাল একবারই আসে যা থাকে কমবেশি ৩০-৩৫ বছর। অর্থনীতিবিদদের মতে, বাংলাদেশ এই সোনালি সময়ে পদার্পণ করেছে ২০১৮ সাল থেকে যা শেষ হবে ২০৫০ এর দিকে।
আমরা যদি, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন অবলোকন করি তাহলে দেখতে পায় বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন এবং ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১১ কোটি ৭ লাখ যা মোট জনসংখ্যার ৬৫.২৩ শতাংশ। ইউএনডিপির মতে, আগামী ২০৩০ সালে বাংলাদেশের কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা আরও বেড়ে দাঁড়াবে ১২ কোটি ৯৮ লাখে এবং আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৩ কোটি ৬০ লাখ। ইউএনডিপির মতেÑ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে বিনিয়োগ এবং উৎপাদনে চীন, ভারত ও সিঙ্গাপুরকে ‘টেক্কা’ দেবে বাংলাদেশ। কেননা, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সোনালি সময় অতিক্রান্ত করছে বাংলাদেশ। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কাক্ষিত মাত্রায় পৌঁছাতে হলে বিপুল জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে বা হিউম্যান ক্যাপিটালে পরিণত করতে হবে।

(৪র্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে যদি ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি এই চারটি মূল ভিত্তির ওপর নির্ভর করে আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক ও উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলা সম্ভবপর হবে মর্মে আমরা আশাবাদী)

বাংলাদেশ সরকারের অভীষ্ট লক্ষ্য আগামি ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন; ২০৩১ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্যের অবসান এবং দেশ উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর; এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত দেশ, যেখানে বর্তমান মূল্যে মাথাপিছু আয় হবে ১২,৫০০ মার্কিন ডলারেরও বেশি। এ সমস্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড। সুষ্ঠু পরিকল্পনা, বিনিয়োগ, দক্ষকর্মী অর্থাৎ মানবসম্পদ তৈরি করার মাধ্যমেই বাংলাদেশ তার এই অভীষ্ট ।
এছাড়া, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা , এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের কারণে বাজার সুবিধা হারানোর মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ অর্থ্যাৎ আগামি ২০৪১ নাগাদ উন্নত, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত, উদ্ভাবনী ও জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে শতভাগ কাজে লাগাতে হবে। সে জন্য তরুণ জনগোষ্ঠীকে যথাযথ শিক্ষা অর্থ্যাৎ কর্মমুখী-কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে যাতে দেশ-বিদেশের শ্রমবাজারে অবদান রাখতে পারে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে কাজে লাগানোর জন্য রাষ্ট্রের প্রয়োজন সঠিক সময়ে ব্যাপক প্রস্তুতি, পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে কাজে লাগানোর মাধমেই জাপান, চীন, ভারত , মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া আজ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন টেকসই নীতি প্রণয়ন এবং সফল বাস্তবায়ন। সঠিকভাবে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা দেশের স্বার্থে কাজে লাগাতে আরও প্রয়োজনÑ এক. দেশের মোট ভূমি, দুই. পুঁজি, তিন. কৃষি ও শিল্পে উন্নত প্রযুক্তি, চার. মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং পাঁচ. বেকার সমস্যার যৌক্তিকভাবে নিরসন। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সফলতার সুফল পাওয়ার জন্য ‘রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবে রূপায়ন বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’ এ ‘মানব উন্নয়ন: জ্যামিতিক লভ্যাংশের সদ্ব্যবহার’ অধ্যায়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন ও দারিদ্র্য নিরসনকে লক্ষ্য রেখে মানব উন্নয়ন কর্মসূচির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মানব উন্নয়নের বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হল- এক. একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা, দুই. জনসংখ্যার শতভাগ সাক্ষরতা, তিন. ১২ বছর পর্যন্ত সার্বজনীন অবৈতনিক শিক্ষা, চার. কর্মভিত্তিক দক্ষতা অর্জনে আগ্রহীদের জন্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, পাঁচ. সাশ্রয়ী মূল্যে স্বাস্থ্য বিমা স্কিমে সার্বজনীন অভিগম্যতা, ছয়. সংগঠিত খাতে সকল কর্মীকে শতভাগ কর্মকালীন দুর্ঘটনা ও স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনা এবং সাত. সাশ্রয়ী ব্যয়ে সকলের জন্য চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করা।
বর্তমান সরকার কর্তৃক ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ৪টি ভিত্তি যথা স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি বাস্তবায়নের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে আওয়ামী লিগের নির্বাচনি ইশতেহার-২০২৪। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন সরকারের সকল উন্নয়ন পরিকল্পনা নির্ভর করছে আমাদের ইয়াং জেনারেশন ও যুব-সমাজের ওপর কেননা তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের উন্নতির মূল চালিকাশক্তি। তাই, আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ করতে ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের অগ্রাধিকার টেকনোলোজি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), রোবোটিকস, আইওটি ও সাইবার নিরাপত্তা হবে মূল বিষয়। এক্ষেত্রে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।
আমরা যদি ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে চাই তাহলে জরুরি ভিত্তিতে নিম্নোক্ত কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। আমাদের বিপুল জনসংখ্যাকে কর্মমুখী ও যথাযথ শিক্ষায় শিক্ষিত করে প্রশিক্ষণ দিয়ে মানবসম্পদে রূপ দিতে হবে (স্পোর্টস এবং সংস্কৃতি ও উদ্ভাবনীর ওপর নজর দিতে অবে); দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করে বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে হবে; কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে; বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান, আত্মকর্মসংস্থান, দক্ষতাবৃদ্ধি ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে; ব্যক্তি, সরকার, উদ্যোক্তা, সুশীল সমাজ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক অংশীদারসহ সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে; এবং দুর্নীতিমুক্ত টেকসই উন্নয়নের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, যে সকল দেশ তাদের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাজে লাগিয়ে আজ সফল ও উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে, তাদের গৃহীত পলিসি বা ব্যবস্থাগুলো আমরা অনুসরণ করতে পারি। এ ক্ষেত্রে চীন ও ভারতের পলিসি থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি।
পরিশেষ, ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে যদি ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি এই চারটি মূল ভিত্তির ওপর নির্ভর করে আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক ও উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলা সম্ভবপর হবে মর্মে আমরা আশাবাদী।

লেখক : উপসচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ

  • ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড
  • স্মার্ট বাংলাদেশ
  • #