সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিষয়টি এখন আদালতে রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আদালত থেকে সমাধান না আসে, আমাদের কিছু করার থাকে না। এটা বাস্তবতা। সদ্যসমাপ্ত চীন সফর নিয়ে আজ রোববার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
কোটা নিয়ে এর আগে আন্দোলনের একপর্যায়ে ২০১৮ সালে সরকার ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে সব ধরনের কোটা বাতিল করেছিল। সেই প্রেক্ষাপট তুলে ধরে পরবর্তী অবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোটা বাদ দিলে কী অবস্থা হয়। ফরেন সার্ভিসে মাত্র দুজন মেয়ে এবং পুলিশ সার্ভিসে চারজন মেয়ে সুযোগ পেয়েছে। বাংলাদেশের সব এলাকা তো সমানভাবে উন্নত নয়। অনগ্রসর সম্প্রদায় আছে। সেসব এলাকার মানুষের কোনো অধিকার থাকবে না?
আন্দোলনকারীরা তাঁর সিদ্ধান্ত চানর- প্রশ্নকারীর এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আদালত যখন কথা বলেছেন, যখন রায় হয়েছে, আমার তো দাঁড়ানোর কোনো অধিকার নাই। রায়ের বিরুদ্ধে আমার দাঁড়ানোর কোনো অধিকার নাই। যতক্ষণ পর্যন্ত আদালত থেকে সমাধান না আসে, আমাদের কিছু করার থাকে না। এটা বাস্তবতা। এই বাস্তবতা তাদের মানতে হবে। না মানলে কিছু করার নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? তাদের নাতিপুতিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে? এটা আমার দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন। তাদের অপরাধটা কী? নিজের জীবন বাজি রেখে, নিজের পরিবার সব ফেলে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে, দিনরাত খেয়ে না খেয়ে, কাদামাটি পেরিয়ে, ঝড়বৃষ্টি সব মোকাবিলা করে যুদ্ধ করে এ দেশে বিজয় এনে দিয়েছিল। বিজয় এনে দিয়েছিল বলেই তো আজ সবাই উচ্চপদে আসীন। আজ গলা বাড়িয়ে কথা বলতে পারছে। তা না হলে পাকিস্তানিদের বুটের লাথি খেয়ে থাকতে হত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাজপথে আন্দোলন করে যাচ্ছে, তারা আন্দোলন করতে থাকবে। যতক্ষণ তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে, কেউ কিছু বলছে না। তবে তারা কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করতে পারবে না। এর বাইরে কিছু করলে, পুলিশের গায়ে হাত দেওয়া বা পুলিশের গাড়ি ভাঙা- এগুলো করতে যদি যায়, তখন আইন তার আপন গতিতে চলবে।