সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ১১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে সময় সংবাদ। এর মধ্যে রাজধানীতেই কলেজ শিক্ষার্থীসহ ৮ জন এবং সাভার, মাদারীপুর ও নরসিংদীতে একজন করে মারা গেছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ফারহান ফাইয়াজ মারা গেছে। দুপুরে রাজধানীর সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
এদিকে মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি ইমপেরিয়াল কলেজের ছাত্র বলে জানা গেছে। তবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। বিকেলে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকায় পুলিশ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাতে একজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতের নাম দুলাল মাতবর। তিনি পেশায় ড্রাইভার। সংঘাতের সময় তিনি একটি হাইএস গাড়ি চালিয়ে ওই এলাকা পার হচ্ছিলেন।
উত্তরা-আজমপুর এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদরে সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটেছে। এ সময় গুলিতে শিক্ষার্থী-পথচারীসহ চারজন নিহত হন। কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চারজনকে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের সিনিয়র নার্সিং অফিসার আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দুই শতাধিক আহত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন। অনেকে গুলিবিদ্ধ। এদের মধ্যে চারজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। একজনের মরদেহ স্বজনরা নিয়ে গেছেন।
এছাড়া বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর শনির আখড়ায় সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সাভারে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুলিতে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী। তিনি আরও জানান, নিহত শিক্ষার্থীর শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। আহত আরও পাঁচজনকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে নরসিংদীতে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে তাহমিদ তামিম (১৫) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাহমিদ তামিমের বাড়ি সদর উপজেলার চিনিশপুরে। সে নরসিংদী এন কে এম হোমস অ্যান্ড স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মাদারীপুরে শহরে পুলিশের ধাওয়ায় লেকের ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ দুজনের মধ্যে দিপ্ত দে (২১) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে শহরের শকুনি লেক থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে। নিখোঁজ আরেকজনকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের অভিযান চলছে।