শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের চট্টগ্রামের চশমা হিলের বাসায় হামলা চালানো হয়েছে। শনিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের দুই নম্বর গেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল পৌঁছালে সেখান থেকে একটি অংশ মেয়র গলির দিকে অগ্রসর হয়। এরপরই চশমা হিলের বাসায় হামলা চালানো হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর ওয়াসার মোড়ের নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেন আন্দোলনকারীরা।
শিক্ষামন্ত্রীর বাসা দুই নম্বর গেটের মূল সড়ক থেকে আধা কিলোমিটার দূরে। নওফেল চট্টগ্রাম সিটির সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে।
এছাড়াও চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস পুলিশ বক্সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল থেকে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এছাড়া ওয়াসা এলাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর অফিসে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।
শনিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ টাইগারপাস যাওয়ার পথে পুলিশ বক্স ভাঙচুর করেন। তবে ওই সময় সেখানে কোনো পুলিশ সদস্য ছিলেন না। কর্মসূচি ঘিরেও পুলিশের কোনো উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। টাইগারপাসে ভাঙচুর করার পর মিছিলটি লালখানবাজারের দিকে আসে। তখন সেখানকার আমিন সেন্টার নামের একটি শপিংমলেও হামলা করেন।
পরে তারা মিছিল নিয়ে ওয়াসার দিকে অগ্রসর হন। যেতে যেতে ফ্লাইওভাবের দেয়ালে, পিলারে, দোকানের সাঁটারে লাল কালো রঙে নানা স্লোগান লিখে দেন। মিছিল থেকে নগরের ওয়াসা মোড় এলাকায় পৌঁছালে পেট্রোল পাম্পের পাশে স্থানীয় সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর কার্যালয়ে আগুন দেন। অফিসটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মহিউদ্দিন বাচ্চু প্রধান নির্বাচনী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। বর্তমানে তিনি সেখানে মাঝে মাঝে নেতাকর্মীদের নিয়ে বসেন।
এরপর মিছিলটি জিইসির দিকে যেতে থাকে। এসময় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।