বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজশাহীর বেসরকারি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিব আনজুম সবুজের (২৫) নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সদ্য সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী মহানগর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহারে ৪২ জনের নাম উল্লেখ আছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা মাইনুল হক (৬০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট নগরীর শাহ মখদুম কলেজ এলাকায় আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিব আনজুম সবুজ।
মামলার অন্যতম আসামিরা হলেন- রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিক দত্ত, যুবলীগ নেতা জহিরুল হক রুবেল, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিয়াম, সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, ২৪নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আরমান আলী, ২২নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন, ১৪নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার, সাবেক মেয়র লিটনের পিএস আব্দুল ওহেদ থান টিটু, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাইমুল ইসলাম নাইম, ছাত্রলীগ নেতা রোজেল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহিল গালিব, সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, নগর যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লব, হরিয়ান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জেবর আলী, কাটাখালীর সাবেক পৌর মেয়র আব্বাস আলী, পবা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ডাবলু, ইয়াসিন আলী, গোদাগাড়ী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন সোহেল প্রমুখ। এ ছাড়াও মামলায় আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মাসুদ পারভেজ বলেন, সাকিব আনজুম সবুজের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সেটি আমরা গ্রহণ করেছি। এতে ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলা তদন্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।