প্রতি চিকিৎসকের সঙ্গে একজন নিরাপত্তাকর্মী না থাকলে জরুরি সেবা না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দেন তারা।
এরআগে কর্মবিরতি বা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন চিকিৎসকরা, এমন ঘোষণা এসেছিল। বলা হয়েছিল, সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টা পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করেছেন তারা। এ সময় চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আশ্বাসও দেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। বলেন, এরইমধ্যে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় ঢাকা মেডিকেলে দুই প্ল্যাটুন বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার এমন ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই আবার ব্রিফ করেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। তারা আরও দাবি জানিয়ে বসেন। বলেন, প্রতি চিকিৎসকের সঙ্গে একজন করে পুলিশ বা আর্মি না থাকলে জরুরি সেবায় তারা ফিরবেন না। এছাড়া, সাত দিনের মধ্যে চিকিৎসক সুরক্ষা আইনের দাবিও জানান তারা।
বলেন, এখনই যদি ওয়ান-টু-ওয়ান সিকিউরিটি (প্রতি চিকিৎসকের জন্য একজন নিরাপত্তারক্ষী) নিশ্চিত করা হয়, এখন থেকেই সেবা কার্যক্রম শুরু হবে। না হলে তারা কাজে ফিরবেন না।
এসময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, রোগীদের জিম্মি করা হচ্ছে কিনা? এতে কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন গণমাধ্যমের মুখোমুখি চিকিৎসকদের কেউ কেউ। বলেন, যেভাবে হামলা হচ্ছে, ডাক্তারদের জীবনের নিরাপত্তা আপনি দেবেন? এসময় আন্দোলনরত একাধিক চিকিৎসক কথা বলতে চাওয়ায় কিছুটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিও তৈরি হয়।
এসময় ক্ষুব্ধ এক চিকিৎসক বলেন, আমাদের সমস্যা আমরা মানবিক। আমরা চুপি চুপি সেবা দিয়ে যাই।
সাংবাদিকদের এসময় জানানো হয়, আইসিইউ, সিসিইউ বা এইচডিইউ’র মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ রোগীরা ঠিকঠাক সেবা পাচ্ছেন। তাদের চিকিৎসায় কোনো ব্যাঘাত ঘটছে না।