বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি হত্যার মামলার কারাভোগ করা আসামি মুশফিক উদ্দীন টগর (৫০)কে র্যাব গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর আজিমপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি রিভলবার ও ১৫৬ রাউন্ড গুলি জব্দ করেছে র্যাব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হলে এক সময়ের ছাত্রদল নেতা টগর গ্রেফতারের বিষয়টি র্যাব গণমাধ্যম কর্মীদের হোয়াটসআপ গ্রুপে তথ্য জানায়।
২০০২ সালের ৮ জুন বুয়েট ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের তৎকালীন ছাত্রদল নেতা মুশফিক উদ্দিন টগর গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হন সনি। দরপত্র নিয়ে ওই সংঘর্ষ হয়। বুয়েটের কেমিপ্রকৌশল বিভাগের ১৯৯৯ ব্যাচের ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনি সেদিন ক্লাস শেষে বুয়েটের হলে ফিরছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে তার নিহত হওয়ার পর সারাদেশে আন্দোলন হয়।
এ ঘটনায় ঢাকার বিচারিক আদালতে সনি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয় ২০০৩ সালের ২৯ জুন। রায়ে ছাত্রদলের নেতা মুশফিক উদ্দিন টগর, মোকাম্মেল হায়াত খান ওরফে মুকিত ও নুরুল ইসলাম ওরফে সাগরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া পাঁচজনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। পরে ২০০৬ সালের ১০ মার্চ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনের সাজা কমিয়ে তাঁদেরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন উচ্চ আদালত। পাশাপাশি যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামির মধ্যে দুজনকে খালাসও দেওয়া হয়। ওই হত্যাকাণ্ডে দণ্ডিত ছয় আসামির মধ্যে চারজন কারাগারে আছেন। মোকাম্মেল ও নুরুল এখনো পলাতক। আরেক আসামি মুশফিক উদ্দীন টগর কারাভোগের পর মুক্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব তাকে গ্রেফতার করে।