ইলিশের উচ্চদামে হতাশা প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। অবস্থা এমন যে ইলিশের স্বাদ ভুলতে বসেছে একশ্রেণির মানুষ। বরিশালের সবচেয়ে বড় পাইকারি মোকাম পোর্টরোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। এখান থেকে পাইকারি দামে মাছ কিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়। পোর্টরোডের বাজার ঘুরে শুক্রবার (১৭ মে) দেখা যায়, ৫০০ গ্ৰাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬৫০ টাকা কেজি, যা গতবছর ছিল ৯৫০ টাকা। ৮০০ গ্ৰাম ওজনের ইলিশ গতবছর ১২০০ টাকায় বিক্রি হলেও এবার বিক্রি হচ্ছে ২৩৫০ টাকায়। এককেজি ওজনের ইলিশ গতবছর ১৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০০ টাকা কেজি।
আড়তগুলো ঘুরে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরেই আশানুরূপ ইলিশ আসছে না। বিগত দিনে এ সময়ে ১০০০-১২০০ মণ ইলিশ আসত। কিন্তু বেশকিছু দিন ধরেই ১৫০-২০০ মণ ইলিশ আসছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তাই সরবরাহ কম থাকায় দ্বিগুণ হয়েছে ইলিশের দাম।
ইলিশ কিনতে এসে দরদামে পোষাতে না পেরে পাঙাশ কিনতে হয়েছে বলে জানান এক ক্রেতা। তিনি বলেন, ৫০০ গ্ৰাম সাইজের ইলিশ কেজি ১০০০-১৫০০ টাকা হয়েছে। যা আগে ছিল ৫০০-৯৫০ টাকা। পাঙাশ মাছেরও দাম বেড়েছে। ২৮০ টাকা কেজি দরে পাঙাশ মাছ কিনলাম। যা আগে ছিল ১৫০-২০০ টাকার মধ্যে।
মৎস্য অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, নদীতে পানি কম থাকা ও তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে মাছে বৃদ্ধি কমেছে। পাশাপাশি মাছ অস্বস্তিতেও রয়েছে। যে কারণে মাছের আনাগোনা কম। জেলের জালে ধরা পড়ছেও কম। তবে বৃষ্টি হলে এবং তাপপ্রবাহ কমলে মাছের আনাগোনা বাড়বে, উৎপাদনও বাড়বে। তখন মাছের মূল্যও কিছুটা কমবে।