জবিতে অবন্তিকার শোকসভা

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

দেখতে দেখতে মিলনায়তনে থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। তাঁরা অপরাধীদের বিচার দাবি করেন। বিভাগের চেয়ারম্যান সরকার আলী আককাস সভায় সভাপতিত্ব করেন।

একজন ছাত্রী কেন আত্মহননের পথ বেছে নেবেন—এমন প্রশ্ন তোলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকা হালিম। যৌন নিপীড়নের অভিযোগ জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে চার মাস আগে প্রশাসনের কাছে দেওয়া অবন্তিকার আবেদনে গাফিলতি, অবহেলা করা হয়েছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘এ জন্য আমি দগ্ধ। তারা যদি সক্রিয় থাকত, অন্তত আমি সন্তুষ্ট থাকতাম।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা যে বেদনা অনুভব করছি, এর থেকে শতগুণ বেদনা তার মা অনুভব করছে। তদন্ত কমিটি দ্রুত সুষ্ঠু তদন্তের প্রতিবেদন দেবে।’

ক্যাম্পাস কেন নিরাপদ হলো না, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসরিক হাসান।  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হলে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ জানান তিনি।

আইন অনুষদের ডিন মাসুম বিল্লাহ বলেন, অবন্তিকার আইনি লড়াইয়ে আইন বিভাগ থাকবে তাঁর পাশে থাকবে।

প্রসঙ্গত,  শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকা রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। ফেসবুক পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ নানা ধরনের নিপীড়নের অভিযোগ করেন। ওই পোস্টে একজন সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে ছেলেটির পক্ষ নিয়ে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগও করেছেন তিনি। সেখানেই আত্মহত্যার কথা বলেন অবন্তিকা।

#